বর্তমান সময়ে আমরা সবাই কমবেশি কর্মব্যস্ত। জীবনকে আরো সুন্দর এবং সহজ করে তুলতেই যেনো আমাদের এই ছুটে চলা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপ সামলাতে না পেরে হাপিয়ে উঠি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেই বেঁচে গেলাম এরকম একটা বিষয়। সেই কঠিন সময়টায় দরকার কার্যকরী কিছু অনুপ্রেরণা। হয়তো বা কালে ভাদ্রে তা আমরা আমাদের কাছের কিছু নিকটজনদের থেকে পেয়েও যাই কিন্তু এসবই আমাদের জানা তারপরও কিসের যেন একটা অতৃপ্তি। আসলে সেটা আর কিছুই না নিজেকে বুঝতে কিঞ্চিৎ ভুল হওয়া। আসলে দিনশেষে আমার নিজেদেরই জানতে হবে খারাপ সময়টা কিভাবে পার করতে হয়? আশপাশের মানুষজন হয়তো বা কিছুটা সময় পাশে থাকবেন কিন্তু সবসময় পাশে চাওয়াটাও একরকম বোকামি।
তাই আসুন জেনে নিই কিছু যুগোপযোগী টিপস যা কিনা আপনাকে সামনের দিনগুলোতে আরো বেশি উদ্দীপ্ত রাখতে সহায়তা করবে। টিপসগুলো নিম্নরূপঃ
১.প্রার্থনা দিয়ে শুরু করাঃআপনি হয়তো বা খ্রিস্টান ধর্মের হতে পারেন কিংবা বৌদ্ধ বা হিন্দু। আর নয়তো আমার মতোই মুসলমান ধর্মের অনুসারী। যেহেতু আমরা বাংলাদেশে বসবাস করি তাই এখানকার বেশিরভাগ মানুষই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তা আপনি যেই ধর্মের হয়ে থাকুন না কেন দিনের শুরুটা করুন নিজ নিজ ধর্মের প্রার্থনা দিয়ে এতে করে একই সাথে যেমন স্রষ্টার আনুগত্য লাভ করবেন ঠিক তেমনি আপনার কাজগুলো করতেও একটা নতুন উদ্যোমী আত্মবিশ্বাস পাবেন।
২.দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক রাখুনঃ
যে কোনো কাজ করতে গেলে স্বভাবতই আমাদের মধ্যে দুইধরনের ধারণা এসে পড়ে। একটি ইতিবাচক আরেকটি নেতিবাচক। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে সবসময় ইতিবাচক থাকার এতে করে আপনার নিজেরই মঙ্গল বৈকি আর কোনো ক্ষতি নেই। আর জীবন সম্পর্কেও আপনি একজন দূরদর্শী এবং ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।
৩.নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে সচেতন হোনঃ আপনি পছন্দের যেইসব মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করেন কিংবা যেইসব জীবনীশক্তি আপনার চারপাশে রাখতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন সেই ব্যাপারে স্পষ্ট থাকুন কেননা দিনশেষে এই মানুষগুলোই আপনাকে নিয়ে ভাবে।
৪.ব্যায়াম করুনঃবিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরত কিংবা আনন্দদায়ক কিছু শারীরিক ব্যায়াম বা মেডিটেশন আপনার শরীর প্রফুল্ল রাখতে এবং মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে সহায়ক।
৫.পছন্দের কাজগুলো করা শুরু করুনঃ
জীবন ও জীবিকার তাগিদে আমাদের সবাইকেই কাজ করতে হয়। কাজ করতে করতে একটা সময় সবাই আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কাজের চাপের কারণে কিংবা আলসেমির জন্যেই হোক নিজের পছন্দের কাজগুলোকে আর সময় দিয়ে উঠা হয় না আর একারণে নিজেরাও প্রফুল্ল ও উদ্দীপনা পাই না আর আগের মতো। তাই নিজেকে উদ্দীপ্ত রাখতে এখন থেকে আপনার পছন্দের কাজগুলো করা শুরু করে দেন।
![]() | ![]() |
আপনি একসময় খুব ভালো লিখতেন কিন্তু এখন কাজের চাপে হয়তোবা লিখালিখি করা একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছেন। নতুন করে আবার শুরু করুন। ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করলে বাইরে কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসুন। সাথে আগে যেমন ছবি তুলতে পছন্দ করতেন সেটি করতেও ভুলবেন না যেনো।
এইসব ছোটখাটো বিষয় গুলোই আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে আর আমরা কিনা এসব জিনিসকেই মূল্যায়ন করি না ঠিক করে। চিন্তার কোনো কারণ নেই এখন থেকে আপনার এসব পছন্দের জিনিস গুলোকেই আস্তে আস্তে মূল্যায়ন করতে শিখুন।