পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

0 34

জীবন চলার পথে আমরা অনেক সময় জীবন নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। কাজের চাপ এবং পারিবারিক, সাংসারিক কিংবা জীবনঘনিষ্ঠ যে কোনো বিষয়ে অনেক সময় আমরা চিন্তাভাবনায় হাঁপিয়ে উঠি। হাফ ছেড়ে একটু বাঁচতে চাই। এইসব চাপ কিংবা পরিবর্তন আমরা সহজে মানতে নারাজ। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করতে চাই না, আমরা চিন্তা করে নেই সবশেষ হয়ে গেলো। হাল ছেড়ে দেই কিংবা নিজের জন্য হানিকর এরকম কোন কাজ করে বসি যা কিনা একেবারে চরম বোকামির বহিঃপ্রকাশ।

জীবনের এসব ছোট ছোট কিংবা বড় কোন পরিবর্তন যিনি যতটা ইতিবাচক দিক থেকে দেখবেন সামনের দিনগুলোতে তিনিই ততোটা সাফল্যমণ্ডিত হবেন। জীবনের এসব পরিবর্তন গুলো মেনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং সেসব ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিনগুলোতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয়ে পরিশ্রম করে যাওয়াটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।

তাহলে চলুন জেনে আসা যাক পরিস্থিতির পরিবর্তন অনুযায়ী কি করে নিজেকে মানিয়ে নিবেন।
কার্যকরী উপায় গুলো নিম্নরূপঃ

১.পর্যাপ্ত সময় নিনঃ

যে কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিন ঘটনাটি বুঝে উঠার জন্যে। তাড়াহুড়ো করতে যেয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন না এসময় কেননা যে কোন কিছু মেনে নিতে আমাদের কিছুটা হলেও সময়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে যা কিনা আমরা অনেকেই নিজেকে দিতে চাই না। তাই এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে কিছু সময় দিন তাহলে সময়ের সাথে সাথে আপনিও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন।

২.ধৈর্য্য ধারণ করুনঃযেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সবচাইতে কার্যকরী এবং একমাত্র শক্তি হচ্ছে ধৈর্য্য ধারণ করা। তাই এইসময়ে ধৈর্য্য ধারণ করাই আপনার জন্যে উত্তম হবে। যা পরিবর্তন হচ্ছে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা না করে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছু সময় ধৈর্য্য ধারণ করুন নিশ্চয় আপনার সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে।

৩.শান্ত থাকুন এবং বিকল্প সিদ্ধান্ত চিন্তায় রাখুনঃঅনেক সময় পরিস্থিতি, সময় আমাদের নাগালের মধ্যে না থাকলে আমরা ঘাবড়ে পড়ি, অশান্ত হয়ে পড়ি। এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখুন এবং স্রষ্টার কাছে আশা রাখুন ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতে আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। সাথে সাথে পরিস্থিতি যেহেতু আপনার অনুকূলে নেই তাই সুবিধা অনুযায়ী কিছু বিকল্প চিন্তা ভেবে রাখুন এবং সুযোগ পেয়ে গেলে তা কাজে লাগিয়ে ফেলুন। তাই বিকল্প কিছু চিন্তা করে রাখুন এতে করে আপনার সময় সাশ্রয় হবে এবং শান্ত থাকার ফলে আপনার জীবনে জটিলতার সম্ভাবনা কম থাকবে।

৪.স্ব – সচেতনতা অবশ্যই জরুরীঃ
আপনি যদি আপনার নিজেকে সঠিকভাবে জেনে থাকেন তাহলে এটিই আপনার সাফল্যের জন্য যথেষ্ট। নিজের সাথে বোঝাপড়াটা ভালো মতো করে নিন। নিজেকে সময় দিয়ে ঝালিয়ে নিন। সকল পরিস্থিতিতে হ্যাঁ বলা থেকে বিরত থাকুন। কিছু কিছু বিষয় যা আপনি করতে চাচ্ছেন না কিংবা পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে চাইছেন না যা কিনা আপনার শক্তি কেড়ে নেয় এরকম পরিস্থিতিগুলো এড়িয়ে চলুন। তাহলেই আপনি সফলভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন। তাই নিজে এসব ব্যাপারে সচেতন থাকুন।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.