ব্যস্ততার কারণেই হোক কিংবা অবহেলায় নিজের শরীরের প্রতি আমরা সবাই কমবেশি একটু উদাসীন। আবার আমরা সকলেই একটি সুন্দর সুঠাম এবং সুস্থ দেহের আশা রাখি কেন না স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল এই কথাটি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাড়েহাড়ে টের পাওয়া যায়। অতিরিক্ত কোন কিছুই যেমন সুখকর নয়, ঠিক তেমনি আমাদের দেহের ওজন যদি বেশি হয়, পরিমিত মাত্রায় না থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক ধরনের ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়।
আমাদের দেহের ওজন অনেকাংশেই আমাদের খাদ্য ব্যবস্থা এবং গ্রহণের উপর নির্ভর করে। আমরা অনেকেই চাই যে না খেয়ে থেকে, ডায়েট করে একবারে ওজন কমিয়ে ফেলবো। হয়তো বা তা করতে আপনি সক্ষম হলেন কিন্তু তা কতদূর ফলপ্রসূ এবং লং-টার্ম এ এর যে কোনো হানিকর দিক একেবারে নেই তা আমরা বলছি না।
সেক্ষেত্রে সবচাইতে কার্যকর হচ্ছে সঠিক কিছু দিকনির্দেশনা এবং খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখা নেওয়া যাক সেরকম কিছু কার্যকরী চমৎকার কিছু পদক্ষেপ যা গ্রহণের ফলে আপনি থাকবেন সুস্থ, স্বাভাবিক এবং সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী।
উপায় গুলো নিম্নরূপঃ
১.বেশি করে ফল এবং সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ
শাকসবজি এবং ফল হচ্ছে সর্বাধিক দেহযন্ত্র সংক্রান্ত খাবার যাতে কোনো রকমের খারাপ কোনো রাসায়নিক উপাদান নেই যা কিনা সুস্বাস্থ্য এবং ডায়েটের স্থায়িত্ব বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। আমরা সাধারণত পরিবহন এবং তাজা রাখা বা সংরক্ষণ এসবের ভয়ে শাকসবজি ও ফলফলাদি প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে থাকি কিন্তু এসব অতিপ্রাকৃত এবং পরিবেশগত ভাবে হওয়া খাবার কম কম করে ঘন ঘন খাওয়ার ফলে একই সাথে ওজন কমানো এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলে।
২.স্থানীয়ভাবে হয় এধরণের খাবার বেছে নেওয়াঃ
আপনার আশপাশে বা আপনি যেখানে থাকেন সে অঞ্চলের মৌসুমি খাবারগুলো তুলনামূলক বেশি টেকসই এবং কার্যকরী আপনার ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এধরণের খাবার খাওয়ার অভ্যাস আস্তে আস্তে গড়ে তুলুন। খুব শীঘ্রই এর ফল আপনি নিজ চোখেই দেখতে পাবেন।
সামুদ্রিক খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা কিনা স্বাভাবিক দর্শন, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুদিন সামুদ্রিক মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার গ্রহণ করুন।
৪.প্রয়োজনের থেকে বেশি খাওয়া পরিহার করুনঃ
অতিরিক্ত না খাওয়া বা প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই ওজন বৃদ্ধি এড়াতে সক্ষম হবো। আমাদের যা প্রয়োজন কেবল তা গ্রহণের ফলে আমরা একই সাথে সুস্থ থাকতে এবং ওজন কমাতে পারবো।