আমাদের জীবনযাত্রা অনেকাংশেই আমাদের মনোভাবের উপর নির্ভর করে কেননা আমাদের জীবন আমাদের মনোভাব ও চিন্তাভাবনা এবং তার দ্বারা সংঘটিত কাজের প্রতিচ্ছবি। আমাদের সমাজ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা কিংবা ব্যক্তিগত ধারণা অস্পষ্ট থাকার কারণে সঠিকভাবে কিছু জিনিস অনুধাবন না করার ফলে জীবন চলার পথে কিছু ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হয়। কিন্তু সেগুলো আঁকড়ে ধরে রাখলে আপনি কখনোই সুখী এবং সফল হতে পারবেন না। তাই সুখী ও সফল হবার জন্যই হোক বা আপনার মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা আরো সমৃদ্ধ এবং বেগবান করতে সবসময় ইতিবাচক থাকার অভ্যাস করুন।
এই ধারণাটা আপনি চাইলেই একবারে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে গড়ে তুলতে পারবেন না তার জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সময় দিতে হবে। আর তাই আপনার কিছু চেষ্টা এবং সদিচ্ছা থাকার প্রয়োজন। এই দুই সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারবে আপনাকে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করতে।
তবে চলুন কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক যেগুলো অনুসরণ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি যে পরিস্থিতিতেই থাকুন না কেন সবসময় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে পারবেন।
উপায়গুলো নিম্নরূপঃ
১.না বলতে শিখুনঃ
যারা আপনার কোনো কাজে অসন্তুষ্ট তারা তা আপনাকে সরাসরি জানাবে। আর যারা এধরণের নয় তারা এর ওর কাছে অভিযোগ করে বেড়াবে। যারা আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সত্যিই আপনার সাফল্য কামনা করেন তারা সবসময় আপনার ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন তাই তাদের নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। যারা এমনটা করবে না তারাই অভিযোগ করবে। তাই আপনি যদি ইতিবাচক থাকতে চান সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন এধরণের মানুষকে এড়িয়ে চলতে। আপনি পারবেন একটু চেষ্টা করুন এখন থেকেই।
৩.তোষামোদকারীদের সঙ্গ ত্যাগ করুনঃ
আপনি হয়তো বা ভাবছেন এটি কেন বলছি তারা তো ভালোই করছে আপনার প্রশংসা করে যাচ্ছে। জ্বী, হ্যাঁ আমি ঠিক কথাই বলছি। এধরণের মানুষ সবচাইতে ক্ষতিকর। আপনার কাজের প্রশংসা হয়তো অনেকেই করবেন কিন্তু যারা প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত করবেন তারাই এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। তারা ভালো খারাপ সব কাজেই তোষামোদ করতে থাকবে তাই আপনি নেতিবাচক থাকলেও তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। তাই এখন থেকে অবশ্যই এধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকুন।