প্যারেন্টিং কৌশল অনুসরণ করুন এবং হয়ে উঠুন শ্রেষ্ঠ মা-বাবা

প্রত্যেক পরিবারের জন্যই সন্তান তথা ছেলে-মেয়েরা হচ্ছে পরিবারের অবিচ্ছেদ্য বা শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আজকের দিনের এই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই আমাদের সমাজ তথা দেশ ও দশের উন্নয়ন। ফলে তাদেরকে যথাযথ এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে তাদের পড়ালেখা ও আর্দশ জীবন গড়ে তুলতে প্রত্যেক মা-বাবাই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সন্তানকে ইতিবাচক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের অভিভাবকদের কিছু জিনিস সবসময় মাথায় রাখতে হবে এবং সেইসব দিক নির্দেশনা এবং বিষয় রপ্ত করানোর মধ্য দিয়ে আপনার সন্তানকে আপনি একজন সৎ এবং যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারবেন। বাজারের কেজি দরে বিক্রি করা বই পড়ে কিছু জিনিস হয়তো বা আপনি নিজে আয়ত্ত করতে পারবেন কিন্তু তা কতদূর ফলপ্রসূ হবে তা আমরা বলতে পারছি না কিন্তু বাস্তবিক ধারণা না থাকলে তা একই সাথে আপনার এবং আপনার সন্তানের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে।

তাই আসুন নিজের এবং প্রিয়জনের বেড়ে ওঠায় সহায়তা করতে কিছু কার্যকরী টিপস জেনে নিনঃ

১.ভালোবাসা এবং স্নেহঃ জ্বী হ্যাঁ গবেষনায় দেখা গেছে যে, শিশুদের সাথে তাদের বাবা-মায়ের ভালোবাসার এবং স্নেহের সম্পর্ক রয়েছে শীর্ষে। বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার সময়টুকুতে তাদের প্রয়োজন প্রচুর শারীরিক স্নেহ, উন্নত এবং কিছু কোয়ালিটি সময়, সমর্থন এবং তাদের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা। সম্পর্কের গুনগত মান এবং নিজের ও সন্তানের জন্য নিয়মিত চাপ কমানোর কৌশল নিযুক্ত করা আর জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা প্রত্যেক মা-বাবার উচিত।

২.সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতাঃ বাচ্চাদের ছোটবেলার থেকেই একটা জিনিস শিখতে সহায়তা করা যে, সম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই এমন কিছু সন্তানের সামনে না করা যাতে করে তাদের ধারণা বিপরীতমুখী হয় যা কিনা সন্তানের সামনের দিনগুলোতে তাকে ভোগাবে। আপনি অভিভাবক হয়ে থাকলে কখনোই সন্তানের সামনে ঝগড়াবিবাদে লিপ্ত হবেন না বরং প্রয়োজনে আপনার সন্তানের সামনে সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চান। এতে করে আপনার সন্তান একটি ইতিবাচক ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠবে যা কিনা তার ভবিষ্যতের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। তাই আবারো বলছি, দয়া করে এমন কিছু করবেন না যা আপনার সন্তানের বুকে দাগ কেটে থাকে তাদেরকে সম্পর্কের গভীরতা বুঝতে সহায়তা করুন।

৩.আগ্রহ গড়ে তুলুন এবং বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করুনঃ শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যক্তির জানার আগ্রহ। বাচ্চার ভালোমন্দ জেনে নিন তাকে ইতিবাচক আর নেতিবাচক দিকগুলো ভালোমতো বুঝিয়ে বলুন যাতে করে সে এই বিষয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা পায়। তাকে জীবনমুখী করে গড়ে তুলতে চমৎকার কিছু বই উপহার দিন। তার ভিতরে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাই সন্তানের সাথে সম্পর্ক মজবুত করুন। তার এবং আপনার সুন্দর আগামী নিশ্চিত করুন।

৪.গুরুজনের সাথে সময় কাটানোঃ আপনার সন্তানকে তাদের দাদা-দাদী, নানা-নানী, শিক্ষক সর্বোপরি এইসব গুনীজনের সাহচর্য দিতে সহায়তা করুন। জীবনের বাস্তবিক ধারণা গুলো সন্তান এইখান থেকেই রপ্ত করবে। তাই তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন যাতে করে খারাপ-ভালো সবটুকু বিষয় আপনাকে বলতে পারে।

 

Comments (0)
Add Comment