আজকের মেয়েই আগামীদিনের মা। তাই তার সুস্বাস্থ্য এবং শারীরিক সক্ষমতা একান্ত কাম্য। আর তার সেই সুন্দর আগামীর ভবিষ্যতের এবং নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সময়মতো নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় কিছু টিকা দিতে হবে। এগুলো তার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়াবে তেমনি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকেও মুক্তি দিবে।
তাই চলুন জেনে নেই অতি প্রয়োজনীয় টিকাগুলো সম্পর্কে –
টিডিএপি টিকা:
টিটেনাস, ডিপথেরিয়া, পারটুসিসের টিকা সাধারণত টিডিপি নামে অধিক পরিচিত। এ টিকা বয়ঃসন্ধিকাল থেকে নিতে হয়। তবে ১৫ বছর বয়স পূর্ণ হলে এ টিকা দেয়ার উপযুক্ত বয়স। সারাজীবনে মোট ৫ বার এ টিকা নিতে হয় যা ৫ ডোজে সম্পূর্ণ করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় ২ বছর ৭ মাস সময় লাগে।
১৫ বছর বয়স পূর্ণ হলে প্রথম ডোজটি নিতে হয়। অথবা গর্ভবতী হলে ৪ মাস থেকে।২ য় ডোজ নেয়ার সময় হয় ১ম ডোজ শেষের ৪ সপ্তাহ পর।২ য় ডোজ শেষ হওয়ার ৪ সপ্তাহ পর ৩ য় ডোজ গ্রহণ করতে হয়। অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায় নিতে হয়।৩ য় ডোজ দেয়ার ১ বছর পর ৪ র্থ ডোজ নিতে হয়।অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায় গ্রহণ করতে হয়। ৫ ম এবং শেষ ডোজ ৪র্থ ডোজের ১ বছর পর নিতে হয়।
এইচপিভি টিকা
নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে হবে। ১ম ডোজ নেয়ার ১ মাস পর ২য় ডোজ নিতে হবে এবং ১ম টিকা নেয়ার ৬ মাস পর ৩য় এবং শেষ ডোজ নিতে হবে।
মেনিনগোকক্কাল এমসিভি ৪:
মেনিনজাইটিস রোগ থেকে বাঁচার জন্য এই টিকার কোনো বিকল্প নেই।১১-১২ বছর বয়সে এ টিকা দেয়া যায়।তবে ১৮ বছরের পর চাইলে যে কেউ এ টিকা দিতে পারে।১৬ বছর বয়সে একটা বুস্টার ডোজ দিতে হয়।
ডিপিটি টিকা:
ভেরিসেলা :
এটি মূলত জলবসন্তের টিকা। জলবসন্ত যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই এই টিকা গ্রহণ জরুরি। নিজেকে এবং আশেপাশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে।
ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা:
ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস তার রূপ সব সময়ই বদল করে থাকে। এজন্য প্রতি বছর ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে হবে।
মোটকথা, নিজের এবং অনাগত সন্তানের সুস্থতার জন্য একজন মেয়ের প্রয়োজনীয় সকল টিকা গ্রহণ খুবই জরুরি।