সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করুন এবং হয়ে উঠুন উদ্দীপ্ত

0 34

গতানুগতিক ধারার কাজ থেকে সরে গিয়ে যারা কিনা আউট অফ দা বক্স চিন্তা করে তারাই সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। তারা কিন্তু নিজেদের একদিনেই এরকম করে নি তার জন্যে তাদের প্রচুর কাঠখড় পেরুতে হয়েছে। দিনশেষে এসব মানুষ তাদের সৃজনশীল কাজের দ্বারা সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। তারা কিন্তু অনুকরণ নয় বরং সৃষ্টিশীল কাজে বিশ্বাসী, অন্যের দেখানো পথে না হেঁটে তারা নিজেরাই নিজেদের পথ তৈরি করে নিচ্ছেন। প্রত্যেক মানুষই নিজস্ব কিছু না কিছু সৃজনশীলতা নিয়ে জন্মায় তাই আপনি খুঁজে বের করুন আপনার সেই শিল্পী মনা মানুষটাকে যা কিনা ভবিষ্যতে আপনাকে প্রাণবন্ত রাখতে এবং জীবনকে উপভোগ করতে সহায়তা করবে। আপনি যেমনই হোন না কেন আপনার সেসব সৃষ্টিশীল সৃজনশীল কাজ আপনাকে যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বুকে বাঁচিয়ে রাখবে।

তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিজেকে সৃজনশীল করে গড়ে তোলার কিছু সহজ উপায়। উপায় সমূহ নিম্নরূপঃ

১.পরিশ্রমী হতে শিখুনঃআমরা ভেবে থাকি যারা প্রতিভাবান তারা মনে হয় যাই করেন তাই অসাধারণ হয়ে উঠে। ব্যাপারটা আসলে এরকম নয় তারাও আমাদের মতো রক্ত-মাংসের গড়া মানুষই। তাদের সেসব সৃষ্টিশীল কাজের পিছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম। তারা সেসব কাজে দিনের পর দিন সময় অতিবাহিত করেছে বলেই তা আজ আমাদের কাছে অসাধারণ এবং অমূল্য হয়ে উঠেছে। তাদের সেসব কাজে ছিল অনেক ভুল এবং ব্যর্থতা। তা নিয়ে তারা কাজ করেছিল বলেই তারা আজ সফল। তাই এখন থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে শিখুন। আপনার এই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই আপনি আপনার পরিবর্তন খুঁজে পাবেন।

২.কৌতুহলী এবং সচেতন হনঃ
প্রতিভাবান ব্যক্তিরা সবসময় তাদের কাজের ব্যাপারে সচেতন এবং তাদের জানার এবং শেখার আগ্রহ সর্বদা। তারা যে কোন নতুন জিনিস শিখতে দ্বিধাবোধ করেন না। তারা মানুষের সাথে মিশে গিয়ে নিজের পরিচয় ভুলে নিজের মতো করে শিখে নেওয়ার আগ্রহ রাখে এবং সচেতন হয়ে মননশীলতার চর্চা করে থাকে। তাই আপনি সৃজনশীল হতে চাইলে এই উপায়টি আপনার জন্য অতীব জরুরী। তাই এখন থেকে শিখার আগ্রহ জাগিয়ে তুলুন নিজের মধ্যে এবং নিজের কাজ নিয়ে সচেতন থাকুন।

৩.পটু হনঃআপনি যাই করতে পছন্দ করেন না কেন কিংবা যা নিয়েই কাজ করুন না কেন সে বিষয়টি একেবারে আপনার নখদর্পনে রাখুন। হয়তোবা একবারেই পেরে উঠবেন না কিন্তু আস্তে আস্তে চেষ্টা করতে থাকুন। আপনি যদি আপনার নিজস্ব কাজ গুলোতে পটু এবং পারদর্শী না হন তাহলে ক্ষতি কিন্তু আপনারই। তাই যেই সেক্টর নিয়েই কাজ করতে চান না কেন সে বিষয়ে একটি বিশদ ধারণা রাখুন এবং সে অনুযায়ী কাজে লেগে পড়ুন।

৪.সবসময় ইতিবাচক ধারণা রাখুনঃজীবন চলার পথে আমরা অনেক কিছুই নেতিবাচক ভাবে দেখে থাকি কিংবা সমাজ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার দরুন কিছু কিছু বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠি আমরা। কিন্তু এমনটা সামনের দিনগুলোতে করলে আপনি নিজেকে নিয়ে ভালো কিছু আশা করা থেকে বিরত থাকুন। তাই এখন থেকে সবসময় যেকোন বিষয়ের ভালো দিকটি নিয়ে পর্যালোচনা করুন এবং তা নিয়ে চিন্তা করুন। এতে করে আপনি নিজেই নতুন নতুন ইতিবাচক দিকগুলো বের করতে পারবেন। তাই সবসময় ঘটনার ইতিবাচক দিক নিয়ে ভাবুন। এতে করে সৃষ্টিশীল এবং ব্যতিক্রম কিছু চিন্তা করতে পারবেন।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.